গ্রেফতার বিশ্বভারতীর সংগীত ভবনের অধ্যাপক

 



সৌমেন দাস; মাটির খবর: ছাত্রকে জাতীগত বিদ্বেষ মূলক কথা বার্তা ও প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ার জেরে গ্রেফতার হলো বিশ্বভারতীর সংগীত ভবনের অধ্যাপক সুমিত বসু। আজ সন্ধ্যে নাগাদ কলকাতা থেকে তাকে গ্রেফতার করে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। 
সূত্রের খবর, গত ২০২১ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর বোলপুরের শ্যামবাটি মোড় সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে বন্ধুদের সঙ্গে চা খাচ্ছিলেন বিশ্বভারতীর অর্থনীতি বিভাগের পড়ুয়া সোমনাথ সৌ। সেই সময়ই ওই রাস্তা দিয়ে সাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন বিশ্বভারতীর সংগীত ভবনের অধ্যাপক তথা উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর ছায়া সঙ্গী সুমিত বসু। কার্যত তখনই সোমনাথ সৌ এবং অধ্যাপক সুমিত বসু মুখোমুখি হলে ওই পড়ুয়াকে জাতিগত বিদ্বেষ মূলক কথা বার্তা বলে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন অধ্যাপক সুমিত বসু। পাশাপাশি তাকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেন বলে জানাই ওই পড়ুয়া। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই এই পুরো বিষয় নিয়ে শোরগোল শুরু হয় বিশ্বভারতীর জুড়ে, সমস্ত ঘটনার লিখিত বিবরণ দিয়ে মেল মারফৎ শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন আক্রান্ত ছাত্র সোমনাথ সৌ। যদিও তার পরেই ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন অধ্যাপক সুমিত বসু। 
 ঘটনা গড়ায় সিউড়ি আদালত পর্যন্ত, মামলা রুজু হয় অধ্যাপক বসুর নামে। সেখানেই বিচারপতি তার রায়ে সুমিত বসুর গ্রেফতারির নির্দেশ দিলে  অধ্যাপক সুমিত বসু তাঁর আগাম জামিনের জন্য আবেদন জানান সিউড়ি আদালতে। পরে সিউড়ি আদালতে  সেই আবেদন খারিজ হলে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিভাস দে'র ডিভিশন বেঞ্চে আগাম জামিনের জন্য আবেদন করেন। শুরু হয় আইনি প্রক্রিয়া, কিন্তু শেষ মুহূর্তে অধ্যাপক বসুর আইনজীবী মামলাটি প্রত্যাহার করে নিলে তিন দিনের শুনানি শেষে কলকাতা হাইকোর্টও সিউড়ি আদালতের রায়কেই বহাল রেখে পুনরায় অধ্যাপক বসুর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
কার্যত তারপরেই রবিবার সন্ধ্যে নাগাদ কলকাতা থেকেই অধ্যাপক সুমিত বসুকে গ্রেফতার করে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, আজ রাতেই অধ্যাপক সুমিত বসুকে শান্তিনিকেতন নিয়ে আসার পর আগামীকাল সোমবার তাকে সিউড়ি আদালতে নিয়ে তোলা হবে।

মন্তব্যসমূহ