আন্দলনের রূপরেখা বদল, বিশ্বভারতীর ছাত্র আন্দলনে এবার গান্ধী বাদের ছাপ
সৌমেন দাস; শান্তিনিকেতন: দীর্ঘ ন'দিন ধরে বিশ্বভারতীতে চলা ছাত্র আন্দলনের রূপ রেখার বদল হলো আজ, বিশ্বভারতীর ছাত্র আন্দলনে এবার গান্ধী বাদের ছাপ। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে ঘেরাও ও অবস্থান বিক্ষোভের পর এবার প্রতীকী অনশনে ও সত্যাগ্রহের পথে হাঁটলেন বিশ্বভারতী থেকে বহিষ্কৃত ছাত্রী রূপা চক্রবর্তী ও বিশ্বভারতীর সাসপেন্ডেড অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য্য। এই অনশন মঞ্চে বসার পরে মূলত তাঁদের দাবি, বিশ্বভারতী থেকে এতো দিন পর্যন্ত যতজন ছাত্র ছাত্রী ও অধ্যাপক, অধ্যাপিকা দেরকে বহিস্কার এবং সাসপেন্ড করা হয়েছে প্রত্যেককে পুনরায় বিশ্বভারতীতে বহাল করতে হবে এবং বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে এবং বিশ্বভারতী ছেড়ে দিতে হবে। এই অনশন প্রসঙ্গে অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য্য জানান, "বিশ্বভারতীর বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী একজন যৌন হেনস্থা কারী। তিনি প্রতিনিয়ত বিশ্বভারতীর ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে অধ্যাপক প্রতিটা মানুষের সঙ্গেই মিথ্যাচার করছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললেই তিনি সাসপেন্ড করছেন এমনকি তিনি তিনজন ছাত্র ছাত্রীকে বহিস্কার করতেও পিছপা হননি। কার্যত তারই প্রতিবাদ স্বরূপ এই অনশনের পথ বেছে নেওয়া। যদিও বর্তমানে তাঁরা প্রতীকী অনশনে বসলেও যদি তাঁদের দাবি না মানা হয়, তবে সেক্ষেত্রে তাঁরা আ-মরন অনশনে বসবেন।
এই অনশন সম্পর্কে বহিষ্কৃত ছাত্রী রূপা চক্রবর্তী জানান, দীর্ঘ ন'দিন ধরে তাঁরা উপাচার্য বাংলোর সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন, উপাচার্যকে ঘেরাও করেছেন। কিন্তু তাতেও উপাচার্য তাঁদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন মনে করেন নি। ফলে আর কোনো পথ না পেয়ে অবশেষে তাঁরা এই অনশনের পথে হাঁটলেন, এবং যদি আগামীতেও উপাচার্য তাঁদের দাবী না মানে সেক্ষত্রে ভবিষ্যতে ছাত্র ছাত্রীরা আ-মরন অনশনের পথে হাঁটতেও পিছপা হবে না।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন