ছাত্রী হেনস্থার অভিযোগ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের নামে, লিখিত অভিযোগ দায়ের শান্তিনিকেতন থানায়

সৌমেন দাস; শান্তিনিকেতন: আবারও বিতর্কিত শিরোনামে বিশ্বভারতী। দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগে উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের শান্তিনিকেতন থানায় এবং একই সঙ্গে অভিযোগ দায়ের বিশ্বভারতীর উপাচার্য তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং নারী সুরক্ষা কমিশনেও। অভিযোগ জানালেন বিশ্বভারতী থেকে বহিষ্কৃত হওয়া ছাত্রী রুপা চক্রবর্তী।
আমরা আমাদের সংবাদ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে বারবার যে ঘটনার দিকে আলোকপাত করে ছিলাম তা হলো বিশ্বভারতী থেকে তিন ছাত্র ছাত্রীকে বহিস্কার। বিশ্বভারতীর উপাচার্যের দাবি ওই তিন ছাত্র ছাত্রী বিভিন্ন সময় বিশ্বভারতীর নিয়ম ভঙ্গ করেছে এব্বগ বিশ্বভারতী চত্বরে এক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পাশাপাশি বিশ্বভারতীর একটি দপ্তরের তালা ভাঙার অভিযোগে ফাল্গুনী পান, সোমনাথ সৌ ও রুপা চক্রবর্তীকে চলতি বছরের ১৪ই জানুয়ারি তিন মাসের জন্য বিশ্বভারতী থেকে বহিস্কার করা হয়। তারপর সেই মেয়াদ শেষ হলে পুনরায় তিন মাসের জন্য ওই তিন ছাত্র ছাত্রীকে দ্বিতীগ বারের জন্য বহিস্কার করার পরেও তাদেরকে বিশ্বভারতীতে না ফিরিয়ে দ্বিতীয় বারের মেয়াদ শেষ হওয়ার দিনেই তাঁদেরকে পুনরায় তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। 
যদিও তারই মাঝে বিশ্বভারতীর উপাচার্য ওই তিন ছাত্র ছাত্রীকে মাওবাদী আখ্যাও দিয়েছিলেন। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই ওই তিন ছাত্র ছাত্রীকে বিভিন্ন ভাবে হেনস্থাও করেছেন তিনি। 
কার্যত তারই প্রতিবাদে আজ শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিশ্বভারতী থেকে বহিষ্কৃত ছাত্রী রূপা চক্রবর্তী। 


তিনি জানান, " প্রথমত বিশ্বভারতীর উপাচার্য তাঁকে বিনা অপরাধে শাস্তি দিচ্ছেন, যার ফলে বিগত ন'মাস তিনি বিশ্বভারতী ছাড়া। পাশাপাশি তিনি অকপটে তাঁকে মাওবাদী তকমা দিচ্ছেন। ফলে উপাচার্যের   এহেন কর্যকলাপ তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে অপদস্ত করছে। পাশাপাশি এলাকায় তাঁদের যে মান সম্মান তাও কখনো কখনো ক্ষুন্ন হচ্ছে তাই তাঁর এই পদক্ষেপ।" 
তবে এই অভিযোগ সম্পর্কে শান্তিনিকেতন থানার ওসি দেবাশিস্ পন্ডিত জানান, "তাঁরা অভিযোগ পেয়েছেন, এবং তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

মন্তব্যসমূহ