বাংলা বিহার সীমান্ত থেকে উদ্ধার মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের নিখোঁজ তৃণমূল নেতার মৃতদেহ। সিবিআই তদন্তের দাবি পরিবারের

বিশ্বজিৎ মন্ডল; মালদা; মাটির খবর: অবশেষে ৬ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পরে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া তৃণমূল নেতা তথা ইট ব্যবসায়ী আনেসুর রহমানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলো বিহারের কাঠিহার জেলার বলরামপুর থানা এলাকার রেল লাইনের ধারে। স্থানীয় সূত্রে খবর বলরামপুর থানা এলাকার ডালখোলা এবং বারসই রেল স্টেশনের মাঝে রেল লাইনের ধারে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় আনিসুর বাবুর মৃতদেহ দেখতে পায় ওই এলাকার মানুষ। এরপরই মৃতদেহ উদ্ধার করে বলরামপুর থানার পুলিশ। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাঠিহার মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। সেখানে ময়নাতদন্তের পর আজ শনিবার ভোর বেলা ভালুকা হাতি ছাপা গ্রাম এ মৃতদেহ নিয়ে আসে তার পরিবার। সেখানেই আজ দুপুরে তাকে কবরস্থ করা হবে।

এদিকে গত সাত দিন থেকে নিখোঁজ থাকার পরে বিহার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয় স্বভাবতই আনেসুর বাবুর পরিবারের লোকেরা এদিকে খুন বলে দাবি করেছেন। এর আগে আনেসুর বাবু নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পরে পরিবারের লোকেদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় ব্যবসায়িক বিবাদের জেরে তাকে অপহরণ করা হয়েছে। এর পরে পরে আনেসুর রহমানের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়াতেই তাদের দাবি আরো জোরালো হলো। এদিককে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আনেসুর রহমানের পরিবার।


প্রসঙ্গত গত রবিবার সকাল বেলায় কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকেই তার খোঁজ পায়নি বাড়ির লোকেরা। রাত গড়িয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় বাধ্য হয়ে স্থানীয় ভালুকা ফাঁড়ি এবং হরিশ্চন্দ্রপুর থানাতে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার পরিবারের লোকেরা। তার সঙ্গে সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে। আনেসুর বাবুর স্ত্রী সহ তার পরিবারের লোকেদের দাবি ছিল বেশ কিছুদিন আগে কালিয়াচকের লোকের সঙ্গে ইটভাটা ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে গণ্ডগোল হয়েছিল এবং কিছুদিন আগে এলাকার সুলতাননগর গ্রামের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে টাকা লেনদেন নিয়ে ঝামেলা হয় আনেসুর বাবুর। সে সময় তাদের দাবি ছিল আনিসুর রহমানের নিখোঁজ হওয়ার পিছনে এদের হাত থাকতে পারে। এরপরে গতকাল বিকেলে বিহার সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে আনেসুর রহমানের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পরই সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে তার পরিবার।

মন্তব্যসমূহ