করোনা আক্রান্তের বাড়িতে অক্সিজেন পৌঁছে দিতে একাই গাড়ি নিয়ে ছুটে চলেছেন অস্মিতা।
সৌমেন দাস; মাটির খবর: "মানুষ বড় কাঁদছে, তুমি মানুষ হয়ে পাশে দাঁড়াও,"―
শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের
কবিতার এই পংক্তির অর্থ যেন এখন অক্ষরে অক্ষরে বুঝতে পারছেন সাধারণ মানুষ। গোটা
বিশ্ব যখন করোনার কড়াল গ্রাসে ভীত সন্ত্রস্ত, তখন তার প্রকোপ থেকে পিছিয়ে নেই
বাংলাও। খবরের কাগজে বা টেলিভিশনের স্ক্রিনে চোখ রাখলেই শুধু দেখা যাচ্ছে শুধুই
মৃত্যু মিছিল। চারিদিকে শুধুই মানুষের হাহাকার, হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেড নেই,
অক্সিজেন নেই, রক্ত নেই।
আর এমন সময় মানুষের
পাশে দাঁড়িয়ে আছে একদল তরুণ তুর্কি ও তাদের তৈরি সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ 'সমন্বয়িং'।
দিন রাত এক করে তারা কাজ করে চলেছে এই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে, অসহায়
মানুষ গুলোর কাছে অক্সিজেন, রক্ত পৌঁছে দেওয়া, হাসপাতালে বেড খুঁজে দেওয়ার জন্য।
আর এই তরুণ তুর্কিদের
মধ্যেই অন্যতম হলেন ব্যারাকপুরের অস্মিতা ব্যানার্জ্জী। দ্বিতল লকডাউনের জেরে যখন
গোটা রাজ্য গৃহবন্দি, তখন বছর ৩২ এর এই ভদ্রমহিলা একাই গাড়ি চালিয়ে অক্সিজেন নিয়ে ছুটছেন করোনা
আক্রান্তদের বাড়িতে, তাদের প্রয়জনীয় অক্সিজেন পৌঁছে দিতে।
এই প্রসঙ্গে অস্মিতা দেবী জানান, তিনি পেশায় একজন অধ্যাপিকা। বর্তমানে আমতা রামসদয় কলেজে সমাজতত্ত্ব বিষয় নিয়ে অধ্যপনা করছেন এবং তাঁর পড়াশুনার বিষয়ও ছিল এই সমাজতত্ত্ব। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই সমাজ সেবা তার কাজের মধ্যেই পরে। তিনি রক্তদান আন্দোলনেরও একজন উল্লেখ যোগ্য কর্মী। কিন্তু বর্তমান এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সেই জায়গাটা আরও বৃহত্তর রূপ নিয়েছে। সেই জায়গা থেকেই দাঁড়িয়ে তার এই প্রচেষ্টা। তিনি সাধারণত ব্যারাকপুর, উল্টোডাঙ্গা দমদম এই সমস্ত জায়গার উপরে কাজ করছেন এবং আগামী দিনেও মানুষের প্রয়োজনে তিনি একাই গাড়ি নিয়ে ছুটে যাবেন মানুষের পাশে দাঁড়াতে এমনটাও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
তবে বর্তমান সময়ে
দাঁড়িয়ে যখন মানুষজন করোনার ভয়ে জুজু হয়ে ঘরে বসে থাকছেন, এবং নারী জাতিকে দোষারোপ
করছেন সেই সময়ে অস্মিতা দেবীর এই পদক্ষেপ যে সমাজের বুকে নারী জাতির জন্য যে আলাদা
দরজা খুলে দেবে তা বলাই বাহুল্য।
দৃষ্টান্তমূলক
উত্তরমুছুন