কেষ্ট পেতে বেশ কষ্ট করতে হলো কমিশনকে

দেবাশিস পাল, বোলপুর: গতকাল‌ই নজরবন্দী করা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তথা বীরভূমের 'কেষ্টদাকে।' সেইমতো সন্ধ্যা নাগাদ একজন আধিকারিকের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে ক্যামেরাম্যান সমৃদ্ধ একটি দল‌ও পৌঁছে যায় বোলপুরের তৃণমূল ভবনে। ততক্ষনে অবশ্য 'কেষ্টদা' সাংবাদিকদের ডেকে জানিয়ে দিয়েছেন যে নজরবন্দী আর গৃহবন্দী এক নয়। তিনি  শুয়ে ঘুমিয়ে যে তিন দিন কাটাবেন না তাও স্পষ্ট করে দেন তখন‌ই।আর যারা আসছে তাকে নজরবন্দী করতে তাদের জন্য কষ্ট হচ্ছে বলেও সমবেদনাও জানান কেষ্টদা।তবে সেই কষ্ট যে ভোটের আগের দিনেই একেবারে নাজেহাল করে তুলবে নজরদারি দলটিকে,তা হয়তো তখন বোঝা যায়নি। বুধবার সকাল গড়িয়ে প্রায় দুপুর, অনুব্রত মণ্ডল বের হলেন বাড়ি থেকে পিছন পিছন গেল নজরদারি চালানো দলটিও কিন্তু তারপরেই হঠাৎ বেপাত্তা 'কেষ্টদা'।গোলোকধাঁধায় পড়ে নির্বাচন কমিশনের গঠন করা দলটির তখন নাজেহাল অবস্থা।তবে তারা অবশ্য বোলপুর চৌরাস্তায় বসে থাকেনি।সঙ্গে সঙ্গে চারিদিকে এলার্ট করে দেওয়ার পাশাপাশি সমস্ত থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয় তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতাটির গতিবিধি সম্পর্কে জানতে। 

                               ফাইল চিত্র

এদিকে 'কেষ্টদা' তো সটান তারা মায়ের আর্শীবাদ নিতে হাজির।যাই হোক নজরদারির দলটি শেষমেশ খোঁজ পেয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের তবে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর।এখন প্রশ্ন একটাই এই আড়াই ঘন্টা কি কেষ্টদা মায়ের কাছেই ছিলেন? না তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম একাদশ দলের এই বিখ্যাত কোচ খেলার ঘুঁটিও সাজালেন,এখন  সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে নির্বাচন কমিশন।

মন্তব্যসমূহ