'পুরনো দলে অপমানিত হয়েছি, তাই তৃণমূলে যোগদান।' বিজেপি ছেড়ে তৃনমূলে আসার পরে সুশীল

সৌমেন দাস; লাভপুর: টিকিট না পেয়ে দল ত্যাগ যেন চলতি বিধানসভা নির্বাচনের মরশুমে এক পরিচিত অঙ্গ হয়ে উঠেছে রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিতে। এর আগে আমরা দেখেছিলাম রাজ্যের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরে অনেকেই তাদের পুরনো দল ছেড়েছেন শুধু মাত্র নির্বাচনের টিকিট না পাওয়ার দুঃখে। বীরভূমেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে রীতিমতো কান্নাকাটি করে নিজের দলের হয়ে এক রাশ অভিমান উগড়ে দিয়ে ছিলেন নলহাটির দাপুটে রাজনীতিবিদ মঈনুদ্দিন শামস্। স্রোতে গা ভাসাতে ভোলেননি দুবরাজপুরের বিদায়ী বিধায়ক নরেশ বাউড়িও। তবে একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপি দলকে বড়ো রকমের ধাক্কা দিয়ে আজ সেই স্রোত এসে পৌঁছালো লাভপুরেও। বিজেপি দলের হয়ে দীর্ঘদিন কাজ করে, তাদের দলীয় প্রচার, মিটিং, মিছিলে গিয়েও টিকিট না পাওয়ার ক্ষোভে পুরনো দল ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগদান করলেন যোগগুরু সুশীল ভট্টাচার্য্য। আজ সকালে লাভপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে লাভপুর বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অভিজিৎ সিনহার হাত ধরে দলে আসেন তিনি। দলত্যাগ সম্পর্কে তিনি জানান, বিজেপির দল তাঁকে ভুল পথে পরিচালিত করেছিল। বিভিন্ন সভায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে অপমান করেছিল বিজেপি দল, তাই সেই দলকে যোগ্য জবাব দিতেই তাঁর এই দল ত্যাগ। এছাড়াও তিনি বলেন তিনি সম্পূর্ন আশাবাদী তৃণমূল দলের জয় সম্পর্কে। তৃণমূল দল পুনরায় ক্ষমতায় এলে তিনি দলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবেন এলাকার উন্নয়নে এমনটাই মন্তব্য করেন।
অভিজিৎ সিনহার সঙ্গে প্রচারে সুশীল ভট্টাচার্য।(নিজস্ব চিত্র)

যদিও তাঁর দল ছাড়ার বিষয়ে লাভপুর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ মণ্ডল জানান,  "তিনি সেই অর্থে বিজেপি কোনোদিন করেননি তবে সম্প্রতি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন প্রার্থী হওয়ার স্বার্থেই। আশা ভঙ্গ হয়েছে তাই দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন তাতে দলের কোনো ক্ষতি হবে না। আর তার চেয়েও বড়ো কথা তিনি একটি গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক, সেখানে তার অধিকার আছে যেকোনো দল করার। তাই তার সম্পর্কে কিছু বলতে চায় না।"

মন্তব্যসমূহ