রাজ্য বনাম বিশ্বভারতী সংঘাত প্রকাশ্যে।

সৌমেন দাস ও দেবাশিস্ পাল; বোলপুরঃ  রাজ্য বনাম বিশ্বভারতী সংঘাতের জের এবার প্রকাশ্যে। গত সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূম জেলার প্রশাসনিক স্তরের আধিকারিকদের নিয়ে গীতাঞ্জলী প্রেক্ষাগৃহে বৈঠক করছিলেন সেই মুহূর্তে ঘোষণা করেন, রাজ্য বিশ্বভারতীকে যে রাস্তা দিয়েছিল সেই রাস্তা পুনরায় রাজ্য সরকার ফিরিয়ে নিল এবং কার্যত তখন থেকেই  শুরু হয়েছিল রাজ্য বনাম বিশ্বভারতী চাপা সংঘাত। যদিও এই ঘটনার পর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে কোনো রকম কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

    চলছে পাঁচিল তৈরির কাজ। (নিজস্ব চিত্র)

তবে আজ সকালে প্রকাশ্যে এলো সেই সংঘাত, দেখা যায় বোলপুর শান্তিনিকেতনের দূরদর্শন কেন্দ্রের পাশ দিয়ে সুরশ্রী।পল্লী যাওয়ার যে পাকা রাস্তা, সেই রাস্তার উপর পাঁচিল তুলে  বন্ধ করে দিচ্ছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।  ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসেন বীরভূম জেলার জেলা শাসক বিজয় ভারতী ও বীরভূম জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার শ্যাম সিং। কথা বলেন ঠিকাদার সংস্থার মালিকের সঙ্গে এবং ঠিকাদার সংস্থার কাছ থেকে ঐ পাঁচিল তোলার লিখিত চুক্তিপত্র সেটি দেখতে চান তাঁরা। তবে তাঁদের কাছে সেই মুহূর্তে উপযুক্ত নথিপত্র দেখাতে না পারায়  সেই মুহূর্তেই কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন তাঁরা, এবং নির্মাণ কাজের যে সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি সেই সমস্ত কিছু প্রশাসনের তরফে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন তাঁরা।


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর মেলার মাঠ পাঁচিল দিয়ে ঘেরাকে কেন্দ্র করে যে রণক্ষেত্র অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল বিশ্বভারতীতে তার প্রেক্ষিতে একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে কোলকাতা উচ্চ আদালত এবং রায় দিয়েছিল পরবর্তীতে বিশ্বভারতীতে যেকোন ছোট বড়ো নির্মাণ কাজ করার আগে আদালত গঠিত যে তিন সদস্যের কমিটি ও জেলা প্রশাসন উভয়ের  সঙ্গে যৌথ ভাবে বৈঠক ও আলোচনা করে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কিভাবে এম্ন সিদ্ধান্ত নিল সে বিষয়েও রয়েছে জল্পনা।

মন্তব্যসমূহ